মোজাম্মেল হক তুমিও বঙ্গবন্ধুর ভক্ত অনুরাগী, আমিও । তোমার ক্ষমতা আছে আমার নাই। তাই বলে ভোদাই সেন মনে

মোজাম্মেল হক তুমিও বঙ্গবন্ধুর ভক্ত অনুরাগী, আমিও । তোমার ক্ষমতা আছে আমার নাই। তাই বলে ভোদাই সেন মনে

Tuesday, October 4, 2011

শিশুরাই দিনবদলের কারিগর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



শিশুরাই দিনবদলের কারিগর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  অক্টোবর ২০১১, ১৮ আশ্বিন ১৪১৮
শিশুদের দিনবদলের কারিগর হিসেবে অভিহিত করে তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিশুদের ওপর পাঠ্যপুস্তক বোঝা যেন বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক নির্যাতন সন্ত্রাসের শিকার যেন শিশুদের হতে না হয়, সে দিকেও দৃষ্টি দিতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'বিশ্ব শিশু দিবস শিশু অধিকার রক্ষা সপ্তাহ' আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হচ্ছে। শিশু অধিকার সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য 'তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে জানবে শিশু জগৎটাকে'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "প্রতিটি শিশুর জন্য গড়ে তুলতে চাই আলোকিত নিরাপদ স্বদেশ। আসুন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুন্দর আগামীর জন্য আমরা আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। আমরা সকলে স্ব স্ব অবস্থান থেকে শিশু অধিকার রক্ষা তাদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।" দেশকে ভালোবেসে সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার জন্য শিশুদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি
গৃহে বা শিক্ষাঙ্গনে শিশুরা যাতে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের শিকার না হয় সে জন্য শিক্ষক অভিভাবকসহ সবাকেই আরো যতœবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "শিশু সব সময়ই বন্ধুর মতো আচরণ প্রত্যাশা করে। শিশুদের ওপর অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা চাপিয়ে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়।" শিশুর মানসিক বিকাশ জ্ঞানচর্চার জন্য প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "প্রত্যেক শিশুর জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের অবারিত সুযোগ থাকা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে তারা গভীরভাবে বিশ্বের অগ্রযাত্রাকে উপলব্ধি করতে পারবে। জ্ঞান-বিজ্ঞান š¦ষণে আগ্রহী হবে। আগামী দিনের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য নিজেদের গড়ে তুলবে।"
"শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ, বিশ্বের ভবিষ্যৎ। তারাই বিশ্বায়ন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আগামীতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। তারাই হবে দিন বদলের ভবিষ্যৎ কারিগর। তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে," বলেন তিনি। সব ধরনের শোষণ নির্যাতন থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ চাই। পারিবারিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে শিশুর সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে চাই। আমরা চাই, বৈষম্যহীন শিশুবান্ধব পরিবেশ।"


শিশুদের বিকাশে পরিবারের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই তার একটা নাম পাওয়ার অধিকার আছে। দেড় মাস থেকে টিকা পাওয়ার অধিকার আছে। ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ পাওয়ার অধিকার আছে। পাঁচ বছর বয়সে স্কুলে যাওয়ার অধিকার আছে। শিশু অধিকারের বিষয়টি প্রত্যেককে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার প্ররামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "তাদের না বলবেন না। তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করাবেন না এতে তারা ভেতরে ভেতরে গুটিয়ে যাবে।"
শিশুর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য শারীরিক মানসিক পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, "আজ দু\খের সঙ্গে বলতে হয়, ডেভলপারদের বদৌলতে আজ খেলার মাঠগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে বিদ্যমান পার্ক খেলার মাঠ দখলমুক্ত করেছি। এগুলোকে শিশুদের ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে।"
প্রধানমন্ত্রী শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আপনারা বছরে অন্তত একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন। সরকার আপনাদের পাশে থাকবে।" ভীতিকর ছবি বা সংবাদ প্রচার গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রতিবন্ধী অটিস্টিক শিশুদের বোঝা মনে না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তারা আমাদের পরিবার সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের বোঝা ভাবলে চলবে না। তাদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।"
২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংহতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, "অতীতে এদেশের অনেক শিশুকেই রাজনৈতিক নির্যাতন সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছিলো। আমরা সেই অন্ধকার সময়ের পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।"শিশুদের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু করার বিয়ষগুলো প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন
ওসমানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, ধর্মগ্রন্থ থেকে তিলওয়াত- সব শিশুরাই করেছে। শিশুদের পক্ষ থেকে সারাহ মেহজাবিন আবিদুর রহমান দীপ নামে দুটি শিশু বক্তব্যও রাখে।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীণ শারমিন চৌধুরী, ইউনিসেফের আবাসিক প্রতিনিধি ক্যারল ডি রয়, মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব তারিক উল ইসলাম। বক্তৃতা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দর্শক সারিতে বসে শিশুদের পরিবেশিত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন

Friday, September 30, 2011

সজীব আহমেদ ওয়াজেদ যেভাবে পাল্টে দিচ্ছেন বাংলাদেশ



সজীব আহমেদ ওয়াজেদ যেভাবে পাল্টে দিচ্ছেন বাংলাদেশ
মোঃ হাসিবুল হাসান হাবীব
সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় তার পরিচয় নিয়ে বলার কিছু নাই । আমি শুধু কিছু ব্যাপার ব্লগারদের সাথে শেয়ার করতে চাই তা হল বাংলাদেশের প্রতি তার অবদান । কাদার মধ্যে থেকেও গায়ে কাদা না লাগিয়ে পথ চলেছেন তিনি । তার মা তাকে রাজনীতি থেকে বহুদূরে রেখে দেশের জন্য কাজ করার জন্যে তাকে তৈরী করেছেন । সবসময় বলেছেন তোমরা সবসময় মনে রাখবা তোমরা কার নাতী । ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের একটা স্বপ্নের নাম । সেই স্বপ্নকে পুরনের জন্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন জয় ।
জয় বলেন  কারও দুর্নীতি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন আমার নেই। নিজেকে সব ধরনের অপবাদমুক্ত রাখতেই আমি দেশের সকল কার্যক্রম থেকে দূরে থাকি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কর্মীদের নিয়ে ধারাবাহিক লেখার ইচছা ছিল । সেই ইচ্ছা থেকে জয় কে দিয়ে এই লেখা শুরু করলাম । ব্যক ক্যাল্কুলেশন অব ডিজিটাল বাংলাদেশ । এইটা পার্ট ওয়ান । অনেক জায়গা থেকে অনেক ইনফো নিছি কিন্তু এইটা তো ব্লগ রিসার্চ পেপার না তাই আর অত ফাইন টিউনিং এ যাই নাই ।
ব্যঙ্গালরের সেন্ট জোসেফ থেকে কম্পিঊটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন করেন ম্যাথ এবং ফিজক্স সহ । তার পর টেক্সাস ইউনিভার্সিটি । তার পর হার্ভাড ইনোভেশন ইন গভর্নেন্স ।
জয় কাজ করে যাচ্ছেন মুলত আডভাইস করে ।
শেখ হাসিনাকে আডভাইস করে ১৯৯৬ সাল থেকেই । জয়ই বাংলাদেশে কম্পিঊটারের ব্যাবসায় ট্যাক্স ফ্রি করার প্রস্তাব দেন ১৯৯৬ এই । আজও আমরা সেই সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছি ।
কমিউনিকেশন এবংকানেক্টিভিটির মাধ্যমে দেশেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে সজীব প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন বাংলাদেশ কে সাবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত করার এবং ১৯৯৬ এ আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই এই কাজটি করার প্রস্তাব দেন এবং সরকার তা করেও ।
কিন্তু গত পৌনে তিন বছরে জয় যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে । বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম যৌথভাবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করে। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন ,
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন উদ্ভাবনের ফলে মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। আর এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য । সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সিষ্টেম তৈরির ফলে দেশের মানুষ লাভবান হবে। জীবন ধারার পরিবর্তন হবে। দেশে টেন্ডারবাজি থাকবে না, এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সরকার সব রকমের সাহায্য-সহায়তা করবে ।
বঙ্গবন্ধু পরিবার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। আমাদের শিক্ষা আছে, মেধা আছে। মেধা খাটিয়েই আমরা অঢেল অর্থ উপার্জন করতে পারি। তাই দেশের সম্পদ চুরি করার প্রয়োজন নেই।
সজীব আহমেদ চান যে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে যাক । গ্রামের মানুষের হাতের মুঠোয় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌছে যাক । এখন অনেক কিছুই কি হচ্ছেনা যা ৩ বছর আগেও মানুষ ভাবেনি ??
আডমিশন ফরম কালেক্ট থেকে শুরু করে সরকারের সমস্ত ফর্ম এখন অনলাইনে আছে । এবং তা অনলাইনে পূরন করে জমা দেবার ও সুবিধা আছে । মোবাইল ইন্টারনেট কি না করেছে , মোবাইল ব্যাঙ্কিং পর্যন্ত এখন বাংলাদেশে হচ্ছে ।টেন্ডার জমা দেয়া , স্বাস্থ্য সেবা , ক্রিষি সেবা , মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ,এটিএম মেশিন ,কল সেন্টার এ সবের মূলেই রয়েছে একটা স্বপ্ন এবং তার পেছনে নিঃস্বার্থ এবং নিরলস পরিশ্রম । সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন । বাংলাদেশে এখন একটা আইটি পার্ক আছে ।
সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের আডভাইসে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । শুধু মাত্র কলসেন্টারে এখন ৪০০০ এর বেশী ছেলে মেয়েরা কাজ করছে । বিদ্যুৎ ঘাটতি আরো কমে এলেই বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের থেকে সম্ভাবনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে কলসেন্টার খাতটি । এইবারই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ৫২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে । ঢাকা সহ সারা দেশের কনষ্ট্রাকশনের মাধ্যমে কানেক্টিভিটি এনশিঊর করার জন্যেও জয় কাজ করে যাচ্ছেন ।
শিশু স্বাস্থ্য ও মৃত্যুহার কমিয়ে আনার সাফল্যে গত বছর জাতিসংঘে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট পুরস্কার গ্রহনের কথা উল্লেখ করে বলেন
আমরা মনে করি শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মায়ের সুস্বাস্থ ও যত্ন দরকার । এ জন্যে দেশের ১১ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিককে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে । এটি অত্যান্ত সৌভাগ্যের বিষয় যে আমরা আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির কাজের স্বীক্রিতী পেয়েছি । এই স্বীক্বিতী আমাদের ঈপ্সিত লক্ষ অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরনা যোগাবে ।
এইসব আওয়ার্ড সজীব আহমেদ ওয়াজেদের কারনেই সম্ভব হয়েছে ।
জয় বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে আমি আমার মাকে বুদ্ধি পরামর্শ দেই। আমি বিদেশে বসবাস করি। তাই এসব কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সরকারের সঙ্গে যারা আছেন, তারা এসব কাজ বাস্তবায়ন করেন।
১৯শে সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখার জন্যে সাউথ সাউথ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে । জাতিসংঘ ইকনমিক কমিশন ফর আফ্রিকা ,আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও সাউথ নিউজ যৌথভাবে আয়োজন করে পুরস্কার দেয় এবং এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সেক্রেটারী জেনারেল ডঃ হামদুন টোরে নিউইয়র্কের ওয়ালডর্ফ এষ্টোরিয়া হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন । পুরুস্কার গ্রহন করে শেখ হাসিনা বলেন — “এটি বংলাদেশের জনগণ ও সরকারের কঠোর পরিশ্রমের স্বীক্রিতি । বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাবহার করেছে । মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া ও যক্ষারোগের চিকিতসা দেওয়া হচ্ছে ।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন
ডিজিটাল বংলাদেশের পরিকল্পনা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে । যে গতিতে উন্নয়ন ঘটছে তা কেঊ কল্পনাও করতে পারেননি । এর সুফল হিসেবে সাউথ সাউথ এওয়ার্ড মিলেছে । বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকার ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ গ্রেডে ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করেছে ,যা ইতিহাসে প্রথম । বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বিদ্যুৎ উতপাদন ৫২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে । দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সরকার সারা দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে । ২৬ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছে । আরো ৩৪ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে । এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আগামি বছরের মধ্যেই চালু হবে । ২০১২ সালে বিদ্যুৎ সেক্টর দেশের চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উদ্ব্বত্ব বিদ্যুৎ উতপাদনে সক্ষম হবে ।
দেশে এখন রয়েছে যানজট , তবে বর্তমান সরকার যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলছে । ইতিমধ্যেই ঢাকা শহরসহ সারাদেশে ব্রিজ ,ওভারপাস ,বাইপাস ,ঊড়ালসেতু ,হাইওয়ে সম্প্রসারনের কাজ যেভাবে শুরু করেছে সরকার, যানজট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারলে যানজট সমস্যার দ্রুত নিষ্পন্ন সম্ভব ।
অত্যন্ত ম্যাচ্যুউর বক্তব্য । সে এখন পুরো তৈরী বাংলাদেশকে নেত্রিত্ব দিতে । শুধু ডেভেলপমেন্ট এক্টিভিজ ছারাও পলিটিক্যালি সে এখন অনেক ম্যাচিওর । এই তো সেদিন ছাত্রলীগের ২৭তম কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন:
ছাত্রলীগ এগিয়ে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে। ছাত্রলীগ হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি বলেই আমাদের সুযোগ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার।
তিনি আরো বলেন -
আমি এসেছি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাতে। সারাদেশ থেকে যে ডেলিগেট ভাইরা এসেছেন তাদেরকে ভালবাসা জানাতে। অতীতে ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। দেশের মানুষও এই সংগঠন থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে।
তার হার্ভাড গ্র্যাজুয়েশন শেষে সনদ বিতরন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন
আমার মার স্বপ্ন ছিল হার্ভার্ড থেকে আমি গ্রাজুয়েশন করি। তাঁর এই স্বপ্ন পূরনে সফল হতে পেরে ধন্য মনে করছি। এছাড়াও আরো অনেক কিছুই করার আছে। তার সবটাই চেষ্টা করবো পূরন করতে।
গনতান্ত্রিক বাংলাদেশে সুখের অনুভুতি প্রতিটি মানুষকে স্পর্শ করুক। সুন্দর ভবিস্যত নির্মানে ভোরের সূর্য কিরণে অবগাহিত হোক বাংলাদেশ। ধুয়েমুছে সাফ হোক অন্যায় অসত্য আর মিথ্যাচার। প্রতিষ্ঠিত হোক গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এই সময়ে এটাই আমার প্রত্যাশা।
ধন্যবাদ জানাই জয় ভাইকে । তার নিরলস নিস্বার্থ কাজ এগিয়ে যাক , এগিয়ে যাক বাংলাদেশ । এমন অনেক কিছুই আরো এদেশের মানুষ পাক , যা আগে কেউ কখন ভাবেও নি । আমার বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সোনার বাংলাদেশ ।
জয় বাংলা ।

Thursday, September 22, 2011

বিএনপি তারেক-কোকো আর যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় হরতাল ডেকেছে: আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ


বিএনপি তারেক-কোকো আর যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় হরতাল ডেকেছে: আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ
 যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে জামাত কমান্ডো হামলা চালায়: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৭ আশ্বিন ১৪১৮
আওয়ামী লীগ নেতারা হরতালের নামে নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আজ হরতাল চলাকালে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় বিএনপির মাথায় আগুন ধরে গেছে। জামায়াত উন্মাদ হয়ে গেছে। এ কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় হরতাল ডেকেছে তারা। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সোমবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগি্নসংযোগ, ভাংচুরসহ গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাংলাদেশকে রাজাকারদের হাত থেকে আরেকবার স্বাধীন করতে হবে। তিনি বলেন, একাত্তরে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিএনপির দোসর জামায়াতকে এবার ছেড়ে দেওয়া হবে না। সবকিছুর বিচার অবশ্যই করা হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে সব জিনিস পাওয়া গেলেও দাম একটু বেশি থাকায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানাই, দাম কমান। মানুষকে কষ্ট দিয়ে লাভ করার চেষ্টা করবেন না।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় বিএনপির মাথায় আগুন ধরে গেছে, জামায়াত উন্মাদ হয়ে গেছে। নিজামী-সাঈদীরা জেলে থাকায় এবং এক ছেলের বিচার শেষে আরেক ছেলের বিচার শুরু হওয়ায় খালেদা জিয়ারও ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এ কারণে দুর্নীতিবাজ ও একাত্তরের মানুষ হত্যাকারী জামায়াতকে বাঁচাতে খালেদা জিয়া হরতাল ডেকেছেন।
তিনি বলেন, হরতালে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই যথেষ্ট। এর পরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সব সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এই সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির হরতালের কোনো ইস্যু নেই। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নীতিনির্ধারক অধিকাংশ নেতার মতামত উপেক্ষা করে এবং জামায়াত ঘরানার বিএনপিপন্থি একটি দৈনিকের সম্পাদকের পীড়াপীড়িতেই খালেদা জিয়া এ হরতাল ডেকেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। 'চাকরি' ও 'পদরক্ষা' এবং লোক দেখানোর জন্য হরতালে মাঠে না নামতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এতে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। তিনি বলেন, সোমবার কোনো বিক্ষোভ মিছিল নয়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ও কমান্ডো স্টাইলে পুলিশ হত্যার উদ্দেশ্যেই জামায়াত রাজপথে নৈরাজ্য ঘটিয়েছে। এটি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রক্ষায় বিকল্প উপায়ে তাদের জেল থেকে বের করে আনার নির্লজ্জ চেষ্টা, যা দেশ ও জাতির জন্য অশনিসংকেত। তবে সরকার তার নৈতিক দায়িত্ব পালনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেই ছাড়বে।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকার গণতান্ত্রিক উপায়েই দেশ পরিচালনা করতে চায়। কিন্তু হরতালের নামে রাজপথে কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে সরকার তাদের কঠোরহস্তে দমন করবে। রাজপথে সজাগ থেকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এমপি, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, শাহে আলম মুরাদ, আবদুল হক সবুজ, আসলামুল হক আসলাম এমপি, অ্যাডভোকেট সানজিদা খাতুন এমপি, সাহিদা তারেক দীপ্তি এমপি, সাইফুজ্জামান শিখর, আনিসুর রহমান আনিস, শেখ আনিস উজ জামান রানা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক লীগের হরতালবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক-কোকো ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং সরকারের সফলতা ম্লান করতেই বিএনপি হরতালের ডাক দিয়েছে। তবে হরতাল ও হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো কাজ হবে না। জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধী এবং ২০০১-০৬ সালের সব দুর্নীতির বিচার করবেই।